কারণটি হলো শূন্য প্রকৃতপক্ষে শূন্য নয়, বলা ভালো অস্তিত্বহীন নয়। এই যে আমরা কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহার করি সেটি সম্ভব হয়েছে শূন্য(০) এবং এক(১) এর জন্য অর্থাৎ বাইনারি নাম্বার সিস্টেমের সূত্র অনুযায়ী। শূন্য যদি সত্যিই nothing অর্থাৎ অস্তিত্বহীন হতো তাহলে বাইনারি নাম্বার সিস্টেম থাকতো না। বলা ভালো, আধুনিক ইলেক্ট্রনিক্সের অস্তিত্বই থাকতো না। কোনো কিছুর অনুপস্থিতি বোঝাতে আমরা শূন্য ব্যবহার করি। কিন্তু এই অনুপস্থিতি বা অবর্তমান নিজেই এমন একটি ব্যাপার যেটির অস্তিত্ব আছে।
এই যে আমরা মহাকাশকে মহাশূন্য হিসাবে ব্যক্ত করে থাকি, সত্যিই কি সেটি অস্তিত্বহীন? বরং বলা যেতে পারে মহাকাশের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য মহাজগৎ, সৃষ্টি হয়েছে এই মহাবিশ্বের। অস্তিত্বহীনতা হল শূন্যের একটি কল্পিত প্রতিরূপ। এই শূন্য হল এমন একটি অঙ্ক যেটির অস্তিত্ব সংখ্যাতত্ত্বে অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ। এটি এককভাবে মানের অস্তিত্বহীনতা, অন্যান্য সংখ্যার পিছনে বসে তাদের মানগত পরিচয় প্রদান, দশমিকের ডানপাশে বসে বিভিন্ন সংখ্যার দশমাংশ প্রকাশ করে।
গনিতবিজ্ঞানে ও সংখ্যাতত্ত্বে শূন্য এখনও একটি বিশাল রহস্য। এটিকে নিয়ে আবিষ্কারের আরো অবকাশ রয়েছে।আপাতদৃষ্টিতে অস্তিত্বহীন এই শূন্য নিজসত্ত্বায় যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী।
Thanks for reading: শূন্যের থেকে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হলো কি করে?, Sorry, my English is bad:)