লিজম ও কমিউনিজম পুঁজিবাদীদেরকে তাদের শ্রেণী শত্রু ঘোষণা করে তাদেরকে খতম করার ঘোষণা প্রদান করে।তখন পুঁজিবাদী রাষ্ট্র সমূহ সোস্যালিজম ও কমিউনিজম এর হাত থেকে আত্মরক্ষায় নেটো গঠন করে।পুঁজিবাদের একটি শক্তিশালী পক্ষ হলো ইহুদী যারা মুসলিমদের চির শত্রু। সেজন্য নেটো মুসলিম রাষ্ট্র সমূহের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।সোস্যালিজম ও কমিউনিজম ইসলামকে তাদের কাজের প্রতিবন্ধক মনে করায় তারাও মুসলিমদের বন্ধু নয়।দু’টি শক্তিশালী প্রতিপক্ষের হাত থেকে আত্মরক্ষায় মুসলিম রাষ্ট্র সমূহের শক্তিশালী কোন সংগঠন নেই। সেজন্য তারা কখনও এর হাতে মার খায়, আবার কখনও ওর হাতে মার খায়।আর এভাবে তারা কোন রকমে অস্তিত্ব রক্ষা করে চলছে। অবশেষে নেটো প্রশ্নে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
একদা সোস্যালিস্ট রাষ্ট্র থাকা রাশিয়া নেটো থেকে আত্মরক্ষায় ইউক্রেন হামলা করেছে। সংগত কারণে নেটো ভুক্ত রাষ্ট্র সমূহ ইউক্রেনের পাশে এশে দাঁড়িয়েছে। আমরা বাঙ্গালীরা সে যুদ্ধে কারা জয়ী হচ্ছে তার হিসাব নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। নেটো মোড়ল আমেরিকা ও রাশিয়া উভয় পক্ষ আমাদের কাজে লাগে বিধায় আমাদেরকে উভয় পক্ষের মন যুগিয়ে চলতে হচ্ছে। সুতরাং আমরা আছি মাইনকা চিপায়।
সোস্যালিজম ও কমিউনিজম কি কখনও পুঁজিবাদের শত্রু থেকে বন্ধু হবে? যদি না হয় তাহলে তাদের পারস্পরিক যুদ্ধের আশংকা থেকে বিশ্ব কখনও মুক্ত হচ্ছে না। সোস্যালিজম ও কমিউনিজম এবং ইহুদী কি কখনও মুসলিমদের বন্ধু হবে? যদি না হয় তাহলে সোস্যালিজম ও কমিউনিজম এবং নেটোর যুদ্ধের আশংকা থেকে মুসলিম রাষ্ট্র সমূহ কখনও মুক্ত হচ্ছে না। উভয় পক্ষের বিপদাশংকায় কোন কোন মুসলিম রাষ্ট্র বলছে তারা আসলে মুসলিম রাষ্ট্র নয়, তথাপিও কি তারা সোস্যালিজম ও কমিউনিজম এবং নেটোর যুদ্ধের আশংকা থেকে মুক্ত থাকতে পারবে? মুসলিম রাষ্ট্র সমূহের জন্য অন্ধকার সব দিক থেকে বিদ্যমাণ।
পারস্পরিক বিরোধীতার যে রাহু গ্রাসে বিশ্ব পড়েছে বিশ্ব সে চক্র ভেদ করতে অক্ষম হয়ে পড়েছে। তথাপি এটা আধুনিক বিশ্ব তথা আধুনিক অক্ষম বিশ্ব; যার জনসাধারণের জন্য যুদ্ধ থেকে কোন নিরাপত্তা নেই। এখানে ক্ষণে ক্ষণে যুদ্ধ হচ্ছে এবং নিরিহ মানুষ অকাতরে প্রাণ হারাচ্ছে। দরিদ্রের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য যে বিপ্লব সাধিত হয়েছে তা এখন তাদেরকে জীবন থেকে মুক্তি প্রদান করছে। যারা বেঁচে আছে তারা যুদ্ধের কারণে বৃদ্ধি পাওয়া দ্রব্য মূল্যের চাপে চ্যাপ্টা হয়ে যাচ্ছে।
সোস্যালিজম ও কমিউনিজম এর মতে পুঁজিবাদ এবং ধর্ম পরিত্যাগ বিশ্ব শান্তির প্রধান নিয়ামক। তাদের এ স্বপ্ন ঠিক কবে বাস্তবায়িত হবে? অবোধকে বুঝানো দায়। সোস্যালিজম ও কমিউনিজম এর জ্ঞানীগন গত হচ্ছেন। লোকেরা পুঁজিবাদ ও ধর্মকে আঁকড়ে পড়ে আছে। আর এভাবেই চলছে বিশ্বের ত্রিশংকু অবস্থা। শান্তির সুবাতাস তাই স্থানে স্থানে আটকে যাচ্ছে।
Thanks for reading: পুঁজিবাদের আত্মরক্ষায় নেটো গঠিত হয়েছে, Sorry, my English is bad:)